
ছবি: রেডিও টুডে
চুয়াডাঙ্গায় শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে শামসুল শেখ নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাত জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মারা যাওয়া শামসুল শেখ (৭৫) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ঈদগাহ পাড়ার মৃত করীম শেখের ছেলে।
নিহত শামসুল শেখের স্ত্রী সুফিয়া বেগম জানান, দেড় বছর আগে দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুর গ্রামের হাসান আলীর সাথে আমার নাতনী কমলা খাতুনের বিয়ে হয়। হাসান আলী তার সাথে খারাপ আচরণ ও শারীরিক নির্যাতন করায় তাকে ডিভোর্স দেয় কমলা। তারপর থেকে কমলা খাতুন আমাদের বাড়িতেই থাকতো। গেল ৩ মাস আগে কমলাকে ফুসলিয়ে নিয়ে পুনরায় বিয়ে করে হাসান।
তিনি আরও জানান, গত সোমবার হাসান আমাদের বাড়িতে আসলে আমাদের সাথে তার বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে আমার স্বামী ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিল। এসময় হাসান আমার স্বামীর ঘাড়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েলে রাত ১টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে মারা গেছেন তিনি। আমার স্বামী জীবিত অবস্থায় বলেছিলন, তার নাত জামাই হাসান সিরিঞ্জের ভিতর বিষ দিয়ে তার ঘাড়ে ফুটিয়ে দেয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধা্রণা করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় কারণে শামসুল শেখের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসলে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, শামসুল শেখের মৃতদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ করেনি তার পরিবার। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ