অগ্রণী ব্যাংকের দুটি লকার থেকে উদ্ধার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একার নামে নয়, বরং তার পরিবারের একাধিক সদস্যের। বুধবার সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক আখতার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বর্ণের মালিকানার বৈধতা যাচাই করা হচ্ছে।
এসব স্বর্ণালঙ্কার শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলসহ বিভিন্নজনের নামে নথিভুক্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় শেখ হাসিনার নামে নিবন্ধিত দুটি লকার খোলা হয়। সেখান থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে একটি পূবালী ব্যাংক এবং দুটি অগ্রণী ব্যাংকের লকারের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান ১৪ সেপ্টেম্বর আদালতে আবেদন করলে সিনিয়র মেট্রোপলিটন বিশেষ জজ আদালত লকার খোলার অনুমতি দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, 'ব্যাংকের নথি পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি ৮৩২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার শেখ হাসিনা, তার মেয়ে ও তার বোনের নামে রেজিস্টার্ড করা।'
তিনি আরও জানান, একটি লকার থেকে ৫,৯২৩.৬০ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। অপর লকার থেকে ৪,৭৮৩.৫৬ গ্রাম ওজনের স্বর্নালঙ্কার উদ্ধার করা হয়, যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নামে নথিভুক্ত।
এছাড়া পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় শেখ হাসিনার নামে থাকা একটি লকারে শুধু একটি খালি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে বলে জানান দুদক মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, লকারে পাওয়া চিরকুট অনুযায়ী উদ্ধার করা স্বর্ণালঙ্কারের মালিকানা শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিবের।
উদ্ধার করা স্বর্ণের মধ্যে গহনা ছাড়া স্বর্ণের তৈরি একটি নৌকা ও একটি হরিণের মডেল রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

