
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সহায়তার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত এ ভিসানীতি তাদের জন্যই প্রযোজ্য।
বুধবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির কথা জানান। এতে বলা হয়, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দেয় এমন বাংলাদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে দেখা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য এ ভিসানীতি প্রযোজ্য।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের বৈঠক পূর্বনির্ধারিত, যা নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমাদের দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতির প্রসঙ্গও এসেছে।
তিনি বলেন, আজ সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি এবং গতকাল আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) বিবৃতিতে যা দেখেছেন, তা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী- সবার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে এক ব্রিফিং এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ভিসা নীতি বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই আছে।
সরকার সবসময়ই সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে মার্কিন নীতির মিল রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/মুনিয়া