শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতাদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ০৩:৩৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

Google News
গ্রাম প্রতিরক্ষা দলনেতাদের জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রীদের চাকুরী রাজস্ব খাতে নিয়ে জাতীয় বেতন স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন নয়-জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি।

একই সাথে গ্রাম প্রতিরক্ষা দল আইন ১৯৯৫ এর ধারা ১০ এবং ১১ অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা দলনেত্রীদেব চাকুরী বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন দলনেতা মো. শেখ ফরিদ সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ২৬ জন দলনেতা ও দলনেত্রীর পক্ষে দায়েরকৃত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল এর দ্বৈত বেঞ্চ উক্ত আদেশ করেন।  

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক সহ ৮ জন কে বিবাদী করা হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসের ৬ তারিখে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। 
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার ও এডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন। 

ইউনিয়ন দলনেতা দলনেত্রীরা দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন, আইন শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা মূলক কাজে  স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদান করেন এবং  বিভিন্ন নির্বাচনকালীন ডিউটি করা সহ রাষ্ট্রীয় কাজে  সহযোগী ভূমিকা পালন করেন। সারাদেশে প্রায় ২৫০০০ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দলনেতা দলনেত্রী রয়েছেন। তারা প্রতি মাসে ২৫০০ ভাতা প্রাপ্ত হন। যেটা অত্যন্ত অমানবিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

সংবিধানের ৩৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল প্রকার জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ। ১৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক তার কাজ কাজের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকারী। সরকার ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত করা হলে তাদের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এছাড়াও ১৯৯৫ সালের আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে তাদের চাকরি সংক্রান্ত বিধিমালা এবং প্রবিধানমালা তৈরি করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছরেও কোন ধরনের চাকরি বিধিমালা এবং প্রবিধানমালা তৈরি না করায় ইউনিয়ন দলনেতা দলনেত্রীরা কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপের শিকার হন যার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের