
আগামীতে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ভুল হতে পারে। তবে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। সবার সহযোগিতায় অবশ্যই স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনাই ইসির চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারা।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমি, আপনারা কেউই আস্থার জায়গায় নেই। এই যে আস্থার সংকট, সেটা জাতীয় সংকট। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনাই চ্যালেঞ্জ। পারস্পরিক শ্রদ্ধা বিশ্বাস ও মর্যাদা ধরে রাখার জন্য সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।
আরেক নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন সাংবাদিকরা চান, আমরাও চাই। আগামীতে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চায় কমিশন। পরস্পরের সহায়ক হতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না কমিশন। অবাধ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে আগামীতে। ভুল হতে পারে কিন্তু কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না আমরা।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমেদ বলেন, গোপন কক্ষে নির্বাচন করে স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব না। স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হলে খোলা মাঠে করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, আগামীতে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চায় নির্বাচন কমিশন।
সভায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিক পর্যবেক্ষক নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশোধনী প্রস্তাব তুলে ধরেন আরএফইডি'র সভাপতি কাজী জেবেল। নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ, আরএফইডি'র সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম