শনিবার,

১৭ মে ২০২৫,

৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শনিবার,

১৭ মে ২০২৫,

৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি: জামায়াত আমির

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১৭ মে ২০২৫

আপডেট: ০৭:১৭, ১৭ মে ২০২৫

Google News
দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি: জামায়াত আমির

অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কাজ করেননি বরং তারা আত্মস্বার্থ, ব্যক্তিস্বার্থ, শ্রেণিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয়স্বার্থ রক্ষাসহ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করেছেন। তাই জামায়াতকে সবসময় স্রোতের বিপরীতে কাজ করতে হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামী শুধু ভোট বা নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নয় বরং আমরা আর্ত-মানবতার মুক্তি ও সমাজের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিবর্তন করতে আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।

শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত থানা মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পন্থায় রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চায়। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ঢেলে সাজাতে চাই যাতে রাষ্ট্রই সব মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে। জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য বা ভেদাভেদ থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, সঙ্গত কারণেই আমরা নানাভাবে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন নতুন কিছু নয় বরং নবী-রাসুলরাও তা থেকে রেহাই পাননি...তাই যে কোনো জুলুম-নির্যাতনে ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের হতোদ্যম হলে চলবে না বরং সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের পথচলা অতীতে নির্বিঘ্ন ছিল না; এখনো নয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তদানীন্তন জালিম সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। ১৯৭৫ সালে তারা সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। কিন্তু ইসলামি আন্দোলনের কর্মতৎপরতা কখনোই বন্ধ ছিল না। ১৯৭৮ সালে নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর তা প্রমাণ হয়েছিল। তবে এজন্য বিভিন্ন সময়ে আমাদের অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি করে না বরং ময়দানে জানমালের কোরবানির মাধ্যমে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রচলিত সব প্রকার অনিয়মের ইতিবাচক পরিবর্তন করতে চায় জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ কাজ করতে গিয়েই আমাদের অনেক ভাই শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন অনেকেই। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আমরা মজলুম হলেও জালেম হবো না।’ এসময় তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠাকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের