
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের পাটমহলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন (৪০) উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের কন্দরপদী গ্রামের হাজী রোকন উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য।
বর্তমানে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দলটির অন্য তিন নেতা। তারা হলেন- সুখিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দী ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী বোরহান উদ্দিন। আরেক নেতার নাম এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি পাকুন্দিয়া, পৌর বিএনপি ও সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও পলায়ন দিবস পালন উপলক্ষে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে পাটমহলে উপজেলা বিএনপির অফিসের সামনে আসে।
এসময় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আল আমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গণঅভ্যুত্থানের আনন্দ মিছিলের প্রধান অতিথি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক এ্যাড. জালাল উদ্দিন তাৎক্ষণিক উপজেলা বিএনপির আনন্দ মিছিল স্থগিত করেন।
অশ্রুশিক্ত হয়ে জালাল উদ্দিন বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সে দলের নিবেদিত কর্মী ছিলো। তার মতো দলপ্রেমী মানুষ আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কমই দেখেছি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়াও প্রচণ্ড গরমের কারণে আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করছি ও বিএনপি নেতা আলামিনের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার পরিবার এই শোক বহন করতে পারে সেই কামনা করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূর-এ-আলম খান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রচণ্ড গরমের কারণে আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম