
জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা বৈধ ছিল, এতে কোনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র জড়িত নয়। জনগণকে হত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
আজ (রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর) জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেয়া জবানবন্দির ওপর দ্বিতীয় দফায় জেরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলামকে জেরা করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী।
জেরা শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে নয়, দেশের জনগণকে হত্যার অভিযোগে এবং পুরো জাতির পক্ষ থেকে সাক্ষ্য দিতে এসেছি। জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের আসামিদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এটা শুধু শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, রাজনৈতিক অপরাধ। দল হিসেবে পুরো আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এটা দিয়ে দলটিকে থামানো যাবে না। বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে।’
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাকে প্রথম দফায় জেরা করা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর দুই দিনব্যাপী জবানবন্দি দেন জুলাই আন্দোলনের এই সংগঠক।
এদিন শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন আপ বাংলাদেশ আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। হাজির করা হয় গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম