
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণের রায় নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই। তিনি বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যদি সুস্থ থাকেন এবং কাজ করার উপযোগী থাকেন, তাহলে তো তিনি হবেন। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন।
গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব। বাসসের প্রতিবেদনের কিছু অংশ পাঠকের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো।
জামায়াতে ইসলামী অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি জোট গঠনের কথা বলছে। বিষয়টিকে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ মনে করে কি না এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কোনোটাকেই চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আমরা মনে করি যে এবার নির্বাচনে আমরা একটা ল্যান্ডস্লাইড বিজয় পাব, ইনশাআল্লাহ। কারণ আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি। অতীতে দল হিসেবে আমাদের দেশ চালানোর পজেটিভ রেকর্ড আছে।
তিনি বলেন, আমরাই এই দেশের সংস্কার এনেছি। এই দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় গেছি। আমরাই এই দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্ট থেকে পার্লামেন্টারি ফর্ম অফ গভর্নমেন্টে গেছি। এই দেশের রেমিটেন্স—শ্রমিকদেরকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাসহ পোশাক শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছি। অর্থনীতিতে এবং রাজনীতিতে যে মৌলিক পরিবর্তন আমরা ঘটিয়েছি। যার মধ্যে দিয়ে আমাদের দেশ এগিয়ে গেছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কবে নাগাদ? কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিরাপত্তার ঝুঁকি দেখি না তবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দলীয় দাবি। তাছাড়া তার বিভিন্ন বিষয়গুলো তো আমাদের দেখতে হবে পার্টি হিসেবে। এখানে তার আবাসন—কারণ তার তো কোনো বাড়ি নেই এখানে। চেয়ারম্যান অফ এ পার্টি, তার একটা বাড়ি দরকার হচ্ছে। অ্যাট দ্য সেম টাইম তার অফিস ঠিক করা দরকার। তার জন্য গাড়ি ঠিক করা হচ্ছে। কিছু সময় লাগছে। মোটামুটিভাবে তো তৈরি হয়ে আসছে সব, খুব শীঘ্রই আসছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম