
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে সকালে আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ জনের মরদেহ। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়, দেবীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার সোহেল রানা, ও খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সকালে রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন ও এমন তথ্য দিয়ে জানান, গতকাল রাত ১১টায় আলো স্বল্পতায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছিলো যা আবার চলছে।
নৌকাডুবিতে এখন পর্যন্ত মৃতরা হলেন- শ্যামলী রানী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানী (২৭), দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রুপালী ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), শ্যfমলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০) ও ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫)। তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কও রায় বলেন,,গতকাল (রোববার) পর্যন্ত নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬৫ জনকে নিখোঁজের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এমএমএস