বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

গেট খুলে দিয়েছে ভারত, তিস্তা অববাহিকায় হঠাৎ বন্যা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২০ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৯:০৭, ২০ অক্টোবর ২০২১

Google News
গেট খুলে দিয়েছে ভারত, তিস্তা অববাহিকায় হঠাৎ বন্যা

ছবিসূত্র: ইন্টারনেট

ভারতের বন্যার পানি নামাতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হঠাৎ বন্য দেখা দিয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে এখন বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের তিন উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় পরিবারগুলো উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাট বাইপাস সড়কও হুমকির মুখে পড়েছে।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে জেগে উঠেছিল চর। হঠাৎ তিস্তার পানিতে সব ডুবে গেছে। কার্তিক মাসে এমনভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে। বুধবার সকাল ৯ টায় ওই পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে।

এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, চর বৈরাতিসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, শুষ্ক মৌসুমে এমন বন্যা আর দেখা যায়নি। গত দুমাস আগে এ নদী শুকিয়ে গিয়েছিল। আজ নদীতে ভরপুর পানি। অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। অনেক পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম এলাকার মাইদুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় ধানক্ষেতসহ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে অনেক পরিবার উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফ উদ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ভারত গজলডোবার ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে। তাই তিস্তাপাড়ের মানুষদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বাড়ার বিষয়টা আমরা জেনেছি। পানিবন্দি পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সহায়তা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস/জেএফ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের