রোববার,

০৪ মে ২০২৫,

২১ বৈশাখ ১৪৩২

রোববার,

০৪ মে ২০২৫,

২১ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

সূরা ইখলাসের ফজিলত

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ২৮ অক্টোবর ২০২২

Google News
সূরা ইখলাসের ফজিলত

ফাইল ছবি

সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ সূরাগুলোর মধ্যে সূরা ইখলাস একটি অন্যতম সূরা। কুরআনুল কারীমের মধ্যে ছোট সূরা এবং ১১২ তম সূরা হচ্ছে সূরা ইখলাস। এই সুরা তেলাওয়াতের মাধ্যমে মানুষ সবচেয়ে বেশি ফজিলত ও নেয়ামত পায়। হিজরতের পূর্বে মক্কায় চার আয়াত বিশিষ্ট এই ছোট্ট সূরাটি নাযিল হয়।

আজকে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় হল সূরা ইখলাসের উচ্চারণ, মর্যাদা, অর্থ ও তেলাওয়াতের ফজিলত সমূহ। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে আসা যাক সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ সূরা এখলাছের মর্যাদা, ফজিলত,উচ্চারণ,অর্থ সম্পর্কে :

উচ্চারন--
১.কুলহু আল্লাহু আহাদ ২. আল্লাহহুছসামাদ ৩. লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ৪. ওয়ালাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ --

১. হে রাসুল! আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ একক।
২. আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি।
৪. আর তার সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা ইখলাস)

এই সুরাটির মর্যাদা :

সূরা ইখলাস কে সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন সুরা হিসেবে নাজিল করা হয়। কুরআনুল কারীমের তিনভাগের এক ভাগ এই সূরাটি ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যায় যে এই সূরাটির মর্যাদা ঠিক কত। এক হাদীস হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতের বেলা অন্য ব্যক্তিকে বারবার সূরা এ ইখলাস পড়তে শুনেছেন। সকাল হলে বিষয়টি রাসূল (সাঃ ) কে জানানো হলে তিনি জানান যে, ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতি হাতে আমার প্রাণ। অবশ্যই এ সূরা কুরআন মাজিদের এক তৃতীয়াংশের সমান। (বুখারী,আবু দাউদ, নাসাঈ,মুয়াত্তা মালেক)

ফজিলত সমূহ:

১. কোরআন মাজিদের ৩ ভাগের এক ভাগ এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে সূরা ইখলাসকে। সূরা ইখলাস মাত্র ১০ বার তেলাওয়াত  করলে ১ বার কুরআন খতমের সওয়াব লাভ করা যায়।

২. গুনাহ মাফ হয় সূরা ইখলাস তেলাওয়াতে। হাদিসে রাসূল (সাঃ) বর্ণিত, যে ব্যক্তি দৈনিক ২০০ বার
সূরা ইখলাস পাঠ করবে, তার ৫০ বছরের গুনাহ হওয়া মাফ হবে। তবে ঋণ থাকলে তার মাফ হবে না। (তিরমিজি )।

৩. সূরা ইখলাস নিয়মিত নিয়ম মাফিক পরলে দারিদ্রতা দূর হয়। এক হাদিস হতে বর্ণিত যে, একদা এক সাহাবী নবীজির কাছে এসে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির উপায় জানতে চাই। এমতাবস্থায় আমাদের নবীজি তাকে বলেন, বাড়িতে ঢোকার পূর্বে সালাম দিতে  এবং একবার সূরা এখলাছ পাঠ করতে। এই নিয়ম পালনের মাধ্যমে সেই সাহাবী বেশ কিছুদিনের মধ্যেই দারিদ্রতা হতে মুক্তি পায়।(কুর্তিবি ১৮৫ )।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সূরা ইখলাসের ভাবমূর্তি এবং মর্মার্থ ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝে তা সর্বদা তেলাওয়াতের তাওফিক দান করুন।
( আমীন )

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের