
কোরআন মাজিদের বিশেষ ফজিলতপূর্ণ কিছু সূরাসমূহ
পবিত্র কোরআন মাজিদের প্রত্যেকটি সূরা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। তবে এর মধ্যে এমন কিছু সূরা রয়েছে যেগুলোর বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যের কথা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আজকের আলোচনায় চলুন জেনে আসা যাক তেমনি কিছু সূরা ও আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে :
১. সূরা বাকারা -- সূরা বাকারা কে বলা হয় জিন কিংবা শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষার হাতিয়ার। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের ঘরসমূহকে কবর করে রেখো না। কারণ যে ঘরে সুরা বাকারা পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম : ১৭০৯)। এই মর্মে এক হাদিস থেকে বর্ণিত হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, কেউ যদি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। (সহীহ বুখারি : ৫০০৯)
২. সূরা মূলক -- কবরের আজাব থেকে রক্ষা পেতে প্রতি রাতে এই সূরা পাঠ এর কথা বলেছেন নবীজি (সাঃ)। তিনি এরশাদ করেছেন, কোরআনে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সুরাটি হল তাবারাকাল্লাযি বিয়াদিহীল মূলক (সূরা মূলক )। (আবু দাউদ : ১৪০০, তীরমিজি : ২৮৯১)
৩. সূরা হাশর -- পবিত্র কুরআন মাজীদের একটি অন্যতম সূরা হলো সূরা হাশর। এই সূরাকে বলা হয় জান্নাত লাভের মাধ্যম। এই মর্মে এক হাদিস হতে বর্ণিত, যে ব্যক্তি দিনে অথবা রাতে সূরা হাশরের শেষ আয়াত পড়বে সে যদি সেদিন অথবা সে রাতে মৃত্যু বরণ করে তার জন্য জান্নাত আবশ্যক। ( জইফ আল জামি অস সাগির : ৫৭৭০)
৪. সূরা ফাতিহা -- এই সূরা পবিত্র কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদা পূর্ণ সূরা গুলোর মধ্যে একটি। তাওরাত, জাবুর, ইনজিল, কোরআন কোনো কিতাবে এই সুরার তুলনীয় কোন সূরা নেই। (বুখারি মেশকাত : ২১৪২)
৫. সূরা কাহাফ --- দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পেতে এই সূরার বিকল্প নেই। নবীজি (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে, তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করা হবে। (সিলসিলাহ সহিহা : ৫৮২, আলবানি )।
উপরে উল্লেখিত সূরা সমূহ গুলো আমাদের সকলের বেশি বেশি পাঠ করা উচিত।
মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে উপরে উল্লেখিত সূরা ও আয়াতগুলোর ফজিলত বুঝে বেশি বেশি পাঠ করার তাওফিক দান করুন।
(আমিন )
এস আর