উত্তরবঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁয়

বুধবার,

০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বুধবার,

০৩ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

উত্তরবঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁয়

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
উত্তরবঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁয়

দেশের উত্তরবঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রত্যাক্ষ করেছে নওগাঁ। দিন দিন এ জেলায় শীতের দাপট স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। কমছে তাপমাত্রাও। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে বেশ শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা কুয়াশার ঢেকে থাকে এলাকা।

সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় ঠাণ্ডার অনুভূতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের কারণে গরম অনুভূত হয়। 
 
সদর উপজেলার হাপানিয়া এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, দিনের বেলা রোদ ঝলমলে ও গরম আবহাওয়া থাকে। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই গায়ে পরতে হয় শীতের কাপড়। ঘুমাতে গেলে কম্বল ছাড়া উপায় থাকে না।

বরুনকান্দি এলাকার ভ্যানচালক সোবহান বলেন, সন্ধ্যা পর হালকা বাতাস ও শীতের কারণে রিকশা চালানো কষ্ট হয়ে যায়। আজ সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ভ্যান চালানোই কষ্ট। সকালে যাত্রীও পাওয়া যায় না।

এদিকে  তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষও। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের লোকজন। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও নদী-তীরবর্তী এলাকার ছিন্নমূল মানুষেরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বের) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বেরিয়ে পড়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের দিনমজুর মানিক মিয়া (৫৫) বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে কোদাল ধরা যায় না। মাটিকাটা খুব অসুবিধে হয়। ঠান্ডায় হাত-পাও কাঁপে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরমাধবরাম এলাকার কৃষিশ্রমিক সেকেন্দার আলী (৬০) বলেন, ঠান্ডা এত বেশি যে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। কাজকাম করা খুব অসুবিধে। হামরা বয়স্ক মানুষ এমন ঠান্ডায় কাজ করা মুশকিল।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের