মালদ্বীপে প্রায় ৯০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলছে বিশেষ অভিযান। গতকাল (রোববার, ২৩ নভেম্বর) থেকে অপারেশন হামামাগু নামের এ অভিযান শুরু করা হয়। প্রবাসীদের সর্তক করে ভিসানীতি ভঙ্গ না করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালদ্বীপে বসবাসরত বৈধকর্মীদের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করা ও অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য দেশটির বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে দেশটিতে কর্মরত বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি মালদ্বীপ থেকে ৯ হাজারেও বেশি অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বর্তমানে দেশটিতে কর্মরত অভিবাসী কর্মীদের নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দেশটি। এর আওতায় অভিবাসী আইন ও ভিসা নীতি ভঙ্গকারীরা সাজার মুখোমুখি হবেন। রোববার থেকে রাজধানী মালেতে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। রাজধানীজুড়ে টহল বাড়ানোসহ অভিবাসীকর্মীদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে টহল জোরদার করা হয়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা জানান, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ থেকে নতুন প্রবাসীরা অনেক টাকা খরচ করে আসলেও তারা কাজ পাচ্ছেন না। এতে থাকার জায়গা ও টাকা-পয়সার ব্যবস্থা না করতে পেরে ভিড় জমাচ্ছেন রাস্তাঘাটে।
এদিকে, মালদ্বীপে প্রায় ৯০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বসবাস করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, সেখানে অবস্থানরত প্রবাসীদের গতিবিধি পর্যাবেক্ষণে রেখেছে দেশটির প্রশাসন। এজন্য ভিসা নীতি মেনে চলা এবং বেআইনি কার্যক্রমে না জড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে হাইকমিশন থেকে।
মালদ্বীপ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে যে, কেউ যেন কোনোভাবে ভিসা রুল ভায়োলেশন হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না থাকি। একইসঙ্গে মালদ্বীপের আইনবিরোধী কোনো কাজেও যেন আমরা না জড়াই।’
এর আগের ইমগ্রেশন ওয়াচ নামের অভিযানে স্থানীয় নাগরিকদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই নতুন এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু ঘোষণা দিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীকর্মীদের বায়োমেট্রিক তথ্যের আওতায় আসতে হবে। তা না হলে কেউই দেশটিতে থাকতে পারবেন না।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

