পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে সীমিত আকারে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তারাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মাসখানেক আগে হঠাৎ অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার মতো বেড়ে যায় দাম। প্রতি কেজির দর ওঠে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। এরপর সরকার আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দর কিছুটা কমতে থাকে। ধীর ধীরে কমে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় নেমে আসে।
গত সপ্তাহে সরকারের তরফে বলা হয়, পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত আছে। নতুন পেঁয়াজও শিগগিরই বাজারে চলে আসবে। তাই কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের এমন পদক্ষেপের সুযোগ নিচ্ছেন মজুতদার ব্যবসায়ীরা। ফলে ফের দাম বাড়ছে। বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
তবে টিসিবির হিসাবে, গত বছরের চেয়ে এখনও ১০ শতাংশ কম দর রয়েছে পেঁয়াজের। এদিকে বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ না এলেও পাতাযুক্ত পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি কেজি কেনা যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

