১১তম গ্রেডের আশ্বাসে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। সোমবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে রাতে এই ঘোষণা দেন তারা।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদেরর আহ্বায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তা দিয়েছে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে কথায় আস্থা-বিশ্বাস রাখছি আমরা।
তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে প্রত্যাহার করবো। আগামীকাল থেকে ক্লাসে ফিরে যাবো।
খায়রুন নাহার লিপি বলেন, রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করার জন্য কিংবা সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসিনি। আমরা মূলত নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জন্য, নিজেদের অভিব্যক্তি সমস্বরে উচ্চারণের দৃপ্ততায় দাঁড়িয়েছি।
এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, যেহেতু ১০ম গ্রেডের চাওয়াটা আমাদের প্রাণের দাবি, সেহেতু এ চাওয়াটা চলমান থাকবে। ১০ম গ্রেডের চাওয়া থেকে আমরা সরবো না। কিন্তু অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবতার নিরিখে এই মুহূর্তে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডকে যুক্তিযুক্ত মনে করছে, কারণ প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা ১২তম গ্রেড নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলাম। অর্থ মন্ত্রণালয় একটি লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করেছে, ১১তম গ্রেড দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা পে কমিশনে দিয়েছেন। এবং পে কমিশন সেটি দ্রুত সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে। যতোদূর সম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটা এ মুহূর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনেক বড় বিজয়।
উল্লেখ্য, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে শনিবার (০৮ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। ওইদিন পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর রোববার (০৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। একসঙ্গে চলতে থাকে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি এবং সারা দেশে শিক্ষকদের কর্মবিরতি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

