বুধবার,

১৭ এপ্রিল ২০২৪,

৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুধবার,

১৭ এপ্রিল ২০২৪,

৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

২১ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের দায় খালেদা জিয়াকে বহন করতে হবে: হানিফ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ২৫ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ০০:৩৪, ২৫ আগস্ট ২০২১

Google News
২১ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের দায় খালেদা জিয়াকে বহন করতে হবে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ২০০৪ সালে যে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, কোনো ভাবে এর দায় এড়াতে পারেন না তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ভার খালেদা জিয়াকেও বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রয়াত বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। এই নেপথ্যের কারিগর ও একজনই, তাদের উদ্দেশ্যও একই ছিলো। একাত্তরে পরাজিত হয়ে, ৭৫’ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন,১৯৭১সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা জানতো বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বেঁচে থাকলে এই হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে তাদের স্বপ্ন পূরণ কখনোই হবে না। তাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করতে হবে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য শুধু চেষ্টা করেনি বহু বার চেষ্টা করেছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে থেমে যায়নি একের পর এক তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।  কারণ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা জানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা যতদিন বেঁচে থাকবে স্বাধীনতাকে নতশাত, ধ্বংস করা যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন পথ চলা কেউ রোধ করতে পারবে না। সেজন্যই শেখ হাসিনাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে। এই প্রত্যেকটা ঘটনায় বিএনপি জামায়াত ঘটিয়েছে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০৪ সালের ঘটনা ছিল সবচেয়ে নৃশংস নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটনা। যা পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে ঘটেনি। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে এই ঘটনা, ঘটানো হয়েছিল। 

আমরা দেখি আগস্ট মাস আসলে বিএনপি জামায়াত বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে  গরম হয়ে মিথ্যাচার করে।

বিএনপিকে বহুবার বলেছি ২১ আগস্ট ঘটনার সাথে আপনারা জড়িত তার বহু প্রমাণ রেখে গেছেন। জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করুন। জনগণ ক্ষমা হয়তো করতে পারে স্বজন হারানোরা ক্ষমা করবে না।

২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি যদি জড়িত না থাকে তাহলে কেন এত নাটক মিথ্যাচার করা হলো। এই মামলার রায় হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, কিছু আসামীকে কারাদণ্ড হয়েছে। যদিও এই বিচারে অনেকেই খুশি হতে পারেননি কারণ এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের মৃত্যুদণ্ড জাতি প্রত্যাশা করেছিল, সেটা হয়নি। এজন্য হয়তো অনেকের মনে কষ্ট আছে। তারপরও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারপর আমরা  বিশ্বাস করি এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের মধ্যে দিয়ে এদেশে হত্যা-সন্ত্রাসের পথ চিরতরে বন্ধ হবে। তাহলে যারা ২১ আগস্টের ঘটনায়  প্রাণ দিয়েছে তাদের আত্মার শান্তি পাবে।

বেগম আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব  লায়ন মশিউর রহমান।স্মরন সভায়   বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ,হুমায়ুন কবীর,স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহজাহান আলম সাজু,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, যুবলীগ নেতা সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, আয়োজক সংগঠনের আক্তারুজ্জামান খোকা, রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের