সংগৃহিত ছবি
যেকোন প্রোগ্রামে বা বাড়িতে কোন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ঝালের পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের আয়োজন থাকেই। যেমন পায়েশ, সেমাই, হালুয়া ইত্যাদি। এসব খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিশমিশ বা বাদামের ব্যবহার করা হয়। এছাড়া অনেকে এমনি এমনিই কিশমিশ বা বাদাম খেয়ে থাকেন। এই কাজ বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী সেটাই আজকের আলোচ্য বিষয়।
পুষ্টিগুণ: কাজু বাদাম আসলে এক ধরনের বীজ। তবে কাজু বাদাম স্বাদে বাদামের চেয়েও অনেকাংশে বেশি এবং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। কাজু বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংঙ্ক, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
কাজু বাদামে থাকা ফ্যাটি এসিড, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশ কার্যকারী হার্টের জন্য। কাজু বাদামে বিদ্যামান ফাইটোস্টেরল, ফেনোলিক যৌগ অনেক উপকারী হার্টের জন্য।
কাজু বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনে। কাজু বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ তাই টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগের জন্য ভালো।
কাজু বাদামে থাকা খনিজ পদার্থগুলো রক্তচাপ কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। এবং হাড়ের যত্নে প্রচুর খনিজ উপাদান প্রয়োজন হয়। কাজু বাদামে এই খনিজ উপাদান বেশি থাকায় এটি হাড়েরও যথাযথ যত্ন নেয়। তাছাড়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দারূণ কার্যকর কাজু বাদাম।
তবে যাদের এলার্জির সমস্যা তারা কাজু বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই বাদামে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে অক্সালেট উপাদান। যেটি শরীরে ঢুকলে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হতে পারে। তবে দুধের সাথে কাজু খেলে অক্সালেটের পরিমাণ কম শরীরে আসে। তাই কিডনিতে সমস্যা থাকলে কাজু বাদাম পরিমাণে কম খেতে হবে।
কাজু বাদামে থাকে অনেক গুন। তবে এটি খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। পরিমাণে বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন এক আউন্স ( ২৪.৩৫ গ্রাম) এর বেশি কখনোই এটি খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ প্রায় ১৮ টি কাজু বাদাম। যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে তারা কাজু বাদাম খেতে পারবেন দিনে ৩/৪ টি।
কাজু বাদাম একদম কাচাঁ খেলে শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই বাদামের উপরের আবরণ তুলে ভেজে খেলে বিপদ মুক্ত থাকা যাবে। তবে প্রসেস করা কাজু বাদামই কিনে থাকে অনেকেই।
এস আর
