
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা, একতরফা নীতি ও সুরক্ষাবাদের কারণে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের স্থিতিশীল নীতি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় ভরসা হয়ে উঠেছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সম্প্রতি এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, অর্থনীতির দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সামষ্টিক অর্থনীতিকে ধারাবাহিকভাবে জোরদার করতে হবে। সেই সঙ্গে আরও সক্রিয় করতে হবে রাজস্ব নীতিকে।
গতবছরের ডিসেম্বরেও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক কার্যনির্বাহী সম্মেলনে বলা হয়েছিল, নীতিগত ব্যবস্থা আরও কার্যকর, ভবিষ্যতমুখী হতে হবে।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে চীনের অর্থনীতি ৫.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে। দেশটি ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে এবং ১৫তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চীনের এই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কেবল অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই নয়, বরং এটি এক কৌশলগত প্রত্যাশা ব্যবস্থাপনা। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন প্রায় ৩০ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। দেশটি মূলত নিজে স্থিতিশীল থেকে বিশ্বকে স্থির রাখার চেষ্টা করছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটি টানা ১৬ বছর ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক এবং প্রায় ৮০টি দেশ ও অঞ্চলের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সুরক্ষা-বাণিজ্যবাদের প্রেক্ষাপটে চীনের অর্থনীতি সহযোগিতা ও উন্মুক্ততার নীতি অবলম্বন করছে। আর এ নীতি বাস্তবায়নে সবুজ ও কম-কার্বন ভিত্তিক রূপান্তর, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং এআই শিল্পই চীনের প্রবৃদ্ধির মূল হাতিয়ার।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম