যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে চুপ থাকার জন্য গোপনে অর্থ দেয়ার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কের আদালতে এই বিচার কাজ শুরু হয়। যা ছয় থেকে আট সপ্তাহ ধরে চলতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
আদালতে হাজির আছেন ট্রাম্প। তিনি হচ্ছেন প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি কোন মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে জরিমানা দিয়ে তিনি কারাবাস থেকে রেহাই পেতে পারবেন।
বিচার শুরু হবার ঠিক আগে ট্রাম্পকে বহন করা গাড়ি কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এসময় রাস্তার দুই ধারে ট্রাম্প ভক্তদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্দেশ্যে হাতও নাড়েন তিনি। এ সময় কোর্টের বাইরে ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ো বিক্ষোভ করতেও দেখা যায়।
আমেরিকাতে ১০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে তথ্য গোপন রাখার জন্য পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গোপনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ওই অর্থের বিষয়টি গোপন রাখতে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক রেকর্ডেও জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
সোমবার জুরি নির্বাচনের মাধ্যমে বিচার শুরু হবে। জুরি নির্বাচনের জন্য এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। প্রথম দিনের বিচারকাজ চলার সময় আদালতকে ট্রাম্প জানান, তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পেরে সম্মানিত। মামলাটিকে 'দেশের উপর আক্রমণ' বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প।
এই বিচার কাজ চলার সময় নিউইয়র্কের আদালত চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। আদলতে ঢুকতে দেয়া হয়নি সব ধরনের গণমাধ্যমকে, এক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হয়েছে। সব ধরনের ডিভাইস ব্যবহারে কড়াকড়ি করা হয়েছে। কোনো ধরনের ছবি, ভিডিও ধারণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের মধ্যে ট্রাম্পের বিচার চলবে। রিপাবলিকান দল থেকে সম্ভাব্য এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়তো নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন। আর যদি তেমনটি হয়েই যায়, তাহলে সেটি হবে নজিরবিহীন এক ঘটনা। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটি বলা যাচ্ছে না।
নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অনেকে মনে করেছিলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলা থাকায় তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে পাড়ে। তবে, সেই শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচনের মনোনয়ন দৌড়ে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম