
ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) শনিবার (১৬ আগস্ট) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৩৪৪ জন নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। খবর জিও নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুর্যোগে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেখানেই নিহত হয়েছে ৩২৮ জন। গিলগিট বালতিস্তানে নিহত ১২ জন এবং আজাদ জম্মু এবং কাশ্মীরে নিহত হয়েছে ১১ জন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। কেননা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বুনার, সোয়াত, বাজৌর, বাটাগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। এসব এলাকায় অনেক বাড়ি, দোকান এবং বিভিন্ন স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিবিসি বলছে, খাইবার পাখতুনখোয়ার অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলা বুনারের জরুরি উদ্ধারকারী বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে একটি হলো বেশন্ত্রি গ্রাম।
সেখানে মানুষের জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য মতো কেউ ছিল না। এসব কাজে পাশের গ্রামের মানুষদের সাহায্যে করতে হয়েছে। সাহায্যকারীদের মধ্যে ছিলেন বুনেরের ব্যবসায়ী নূর ইসলাম এবং বিদেশ থেকে ছুটিতে নিজ ভিটায় আসা মুহাম্মদ ইসলাম। তারা দুর্গত গ্রামবাসীর সহায়তার এগিয়ে আসেন।
নূর ইসলাম জানান, তিনি দুপুর ১টার দিকে বেশন্ত্রি গ্রামে পৌঁছান। তখন সেখানে একটা বাড়িও অক্ষত ছিল না। তিনি বলেছেন, সন্ধ্যা নাগাদ আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং স্থানীয় লোকেদের সাথে বেশ কয়েকটি জানাজায় অংশ নিয়েছি। আমার সংখ্যাটিও মনে নেই, যদিও আমি নিজে ছয়টি কবর খননে সাহায্য করেছি।
বিবিসি জানিয়েছে, খাইবার পখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য মোট ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম