
ইরানের ওপর জাতিসংঘের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সম্ভাবনার মধ্যেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি বড় চুক্তি সই করেছে তেহরান-মস্কো। চুক্তির আওতায় চারটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মস্কোতে ইরান হরমুজ কোম্পানি ও রাশিয়ার রোসাটম প্রজেক্ট কোম্পানির মধ্যে এই চুক্তিটি সই হয়। এর আওতায় ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশের সেরিক উপকূলীয় শহরে তৃতীয় প্রজন্মের চারটি উন্নতমানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
হরমুজ কোম্পানির পক্ষে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) প্রতিনিধিত্বকারী নাসের মানসুর শারিফলু এবং রোসাটমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আরইপি কোম্পানির পক্ষ থেকে দিমিত্রি শিগানভ এই ২৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে সই করেন। এ সময় রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জলালি উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির আওতায় থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণ হলে প্রতিটির ক্ষমতা হবে এক হাজার ২৫৫ মেগাওয়াট। তবে এই চুক্তির সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।
এর আগে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের একটি ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি করে ইউরোপীয় পক্ষগুলো। চুক্তির অধীনে ইরানের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গত মাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি।
শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে চীন এবং রাশিয়া এ নিয়ে আলোচনার জন্য আরও অর্ধ বছর সময় দেয়ার জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করে, তবে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে এই অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে আসছে তেহরান।
১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক শক্তি চুক্তি সই করেছিল ইরান, যার মাধ্যমে বুশেহর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে দেশটি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম