রোববার,

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

১২ আশ্বিন ১৪৩২

রোববার,

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

১২ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা, ২০৬ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:২১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২৩:২২, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা, ২০৬ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশ

চলতি বছরের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অনুযায়ী ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ইএসআইএফ ফরম পূরণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আবেদন ফি ২০৬ টাকার বেশি না নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মোঃ মাসুদ রানা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ঢাকা বোর্ড জানিয়েছে, ‘২০২৪ সালে ৭ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে বোর্ডের অধীনে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে। নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা বছরের ১ জানুয়ারী শিক্ষার্থীর নূন্যতম বয়স ১১+ এবং সবোর্চ্চ ১৭ বছর, তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২২ বছর।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ (১৯৬১ সনের ৩৩নং আইন)-এর ৩৯(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৩/০৪/১৯৯৭ তারিখের শিম/শাঃ১১/বিবিধ-৩৯/৯৬/২৩০/(৬০০) নং স্মারকে জারিকৃত বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) স্থাপন, চালুকরণ ও স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে।’

এতে বলা হয়, ‘বোর্ড কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি বিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বা নিকটতম অনুমোদিত নিম্ন মাধ্যমিক/মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। কোন অবস্থাতেই পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবে না ।

 ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে OEMS / eSIF বাটনে ক্লিক করে EIIN ও Password দিয়ে লগইন (Login) করলে Dashboard eSIF Eight-4 Payable Fees of Eight 2025 Registration-4 Applicant name, Mobile no এবং Number of Students দিয়ে Print Sonali Seba-এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে (বিঃ দ্রঃ- ফরমটি কোন ভাবেই ফটোকপি করে ব্যাংকে জমা দেয়া যাবে না)। ব্যাংকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করা যাবে এবং বাদ পড়া শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বোর্ড জানিয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য তথ্য আপলোড করার লক্ষ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি রেজিস্ট্রেশন কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর চুড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে রক্ষিত ভর্তি ফরম ও জন্ম সনদের সাথে মিলিয়ে যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হবার পর ফাইনাল সাবমিট করবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে কোন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিযুক্ত করা যাবে না। চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ডকপি) প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সদস্যগণ যৌথভাবে দায়ী থাকবেন। রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি বাবদ ২০৬/- টাকা এবং বিলম্ব ফিসহ ২৫৬/- টাকার অতিরিক্ত টাকা নেয়া যাবে না।’ 

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নের পর তাদের তথ্যের পাশে নিজ নিজ স্বাক্ষর করা চূড়ান্ত তালিকার প্রিন্ট আউট (হার্ডকপি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। নতুন পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (সে সকল প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে eSIF করেনি) ব্যানবেইস হতে EIIN সনদ সংগ্রহ করার পর সোনালী ব্যাংকের সোনালী সেবার মাধ্যমে ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা জমা দিয়ে বিদ্যালয় শাখার মাধ্যমে Login Password সংগ্রহ করবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য নিশ্চিত হয়ে ডাটা এন্ট্রি করবে। উল্লিখিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা একারণে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হলে এর দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধান কে বহন করতে হবে। 

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি হালসন নাগাদ থাকতে হবে।স্বীকৃতি বিহীন / হালনাগাদ স্বীকৃতি নবায়ন নেই এ ধরনের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে 'বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিনা তা উল্লেখ করতে হবে এবং প্রমাণস্বরূপ উপর্যুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ সংযুক্ত করতে হবে।’

 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের