নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে দস্যুদের গুলিতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ ও পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে জিল্লুর রহমান (৩২) ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নুর আলম মিয়া (৩৫)। আর অপহরণ হওয়া জেলেরা হলেন- রাজু (১৩), জুয়েল (২৬), আবদুর রহমান (২২), হোসেন (৪০) ও ইসমাইল (৪০)। ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার করেন। কিছু দিন থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এ স্থান দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী।
এর জেরে বুধবার বিকেলের দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই স্থান দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে সেখানে যান ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুর উদ্দিন ও জুয়েল জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যান। এ সময় জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এতে দস্যুদের হামলায় আরও তিনজন আহত হন। এ ছাড়া তারা আরও পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কেফায়েত উল্যার ফোনে কল করা হলেও তার সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ায়ন কবির জানান, মেঘনা নদীতে গুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ