হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে, ভয়াবহ রোগের ইঙ্গিত নয় তো?

সোমবার,

০৩ নভেম্বর ২০২৫,

১৯ কার্তিক ১৪৩২

সোমবার,

০৩ নভেম্বর ২০২৫,

১৯ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে, ভয়াবহ রোগের ইঙ্গিত নয় তো?  

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ৩ নভেম্বর ২০২৫

Google News
হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে, ভয়াবহ রোগের ইঙ্গিত নয় তো?  

হঠাৎ হৃদপিণ্ড দ্রুত ধকধক করতে শুরু করলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। এটি কি শুধুই মানসিক চাপজনিত প্যানিক অ্যাটাক, নাকি হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক ছন্দ—অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশনের (এএফ) মতো গুরুতর কোনো সমস্যা? উপসর্গ অনেক ক্ষেত্রে একই হলেও দুটি অবস্থার গুরুত্ব ও চিকিৎসার পদ্ধতি একেবারেই আলাদা।

মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও কনসালট্যান্ট ডা. কেশব আর জানিয়েছেন, প্যানিক অ্যাটাক এবং অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন দুই অবস্থাতেই দ্রুত হৃৎস্পন্দন, মাথা ঘোরা এবং ভীষণ ভয়ের অনুভূতি হতে পারে। তবে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশনে হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক সংকেতে গোলযোগ ঘটে, যা স্ট্রোক বা হার্ট ফেলিওরের মতো ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে প্যানিক অ্যাটাক মানসিক চাপ থেকে উদ্ভূত এবং প্রাণঘাতী নয়।

অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন কী?

হৃদপিণ্ডের অনিয়মিত বৈদ্যুতিক সংকেতের কারণে পালস দ্রুত এবং বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা পূর্বে স্ট্রোক হয়েছে এমন মানুষের ঝুঁকি বেশি।

লক্ষণসমূহ:

  • হৃৎস্পন্দন দ্রুত বা অস্থির হওয়া
  • মাথা ঘোরা, বমিভাব
  • শরীরে অস্বাভাবিক ক্লান্তি
  • শ্বাসকষ্ট
  • অবহেলা করলে স্ট্রোক বা হার্ট ফেইলিওর তৈরি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

প্যানিক অ্যাটাক কী কারণে হয়?

হঠাৎ তীব্র ভয় বা আতঙ্কের সাড়া হিসেবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই অবস্থা দেখা দেয়। মানসিক চাপ, পরীক্ষার দুশ্চিন্তা, আবেগীয় সমস্যা কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই এটি হতে পারে।

লক্ষণসমূহ:

  • দ্রুত বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন
  • মাথা ঘোরা বা শরীর দুর্বল লাগা
  • অতিরিক্ত ঘাম বা কাঁপুনি
  • বুকে চাপ, দম বন্ধ লাগা
  • নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়
  • এটি দেহের ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট’ প্রতিক্রিয়া অতিরিক্ত সক্রিয় হওয়ার ফল।

দুটি অবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেন বোঝা জরুরি: ডা. কেশব আর বলেন, “বারবার হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া মানেই যে তা উদ্বেগের কারণে হচ্ছে, এমনটি ভাবা ভুল। অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। প্যানিক অ্যাটাক প্রাণঘাতী না হলেও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে, বিশেষত জীবনযাপনে প্রভাব ফেললে।”

দুটিরই উপসর্গ প্রায় একই হওয়ায় কেবল অনুভূতি দেখে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। তাই হঠাৎ বা বারবার দ্রুত হৃৎস্পন্দন দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। কার্ডিওলজিস্টরা পরামর্শ দেন হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে গেলে বা নিয়মিত এমন হলে ইসিজি, ইকোসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে কারণ শনাক্ত করা জরুরি। দ্রুত চিকিৎসা নিলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের