
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পর নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনও তা চলমান। তবুও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চুপ আছে। ফলে এই নির্যাতন থামছে না। এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশে বসবাস করা রোহিঙ্গারা। রোববার (২৪ আগস্ট) কক্সবাজারে শুরু হওয়া অংশীজন সংলাপের প্রথম দিনে এমন অভিযোগ করেন তারা।
তরুণ প্রজন্মের রোহিঙ্গারা বলছেন বাংলাদেশ তাদের দেশ না। তাদের দেশ মিয়ানমার। রোহিঙ্গারা আরাকানের সন্তান। তাদের পূর্বপুরুষরা হাজার বছর ধরে আরাকানে বসবাস করত। কিন্তু তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা মিয়ানমারের রাখাইনে নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে চান। তবে ফেরার মত পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। তাই এমন প্রত্যাবাসন যাতে না হয়, নিজের দেশে গিয়ে আবারও বাংলাদেশে আসতে হয়। এছাড়া তাদের দাবি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ। কোন জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন তারা চান না।
কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা ১০০ জন রোহিঙ্গা প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেন। তারা বলছেন, ক্যাম্পে তাদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানান। ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিও তাদের।
এছাড়া যারা রোহিঙ্গাদের উপর জেনোসাইড করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা এখনও বিচারের মুখোমুখি হয়নি, তারা বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেন, মিয়ানমারে গণমাধ্যমে একপেশে সংবাদ প্রচার করা হয়। রোহিঙ্গাদের বাঙালী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
তিনদিনব্যাপী এই সংলাপে সোমবার বক্তব্য রাখবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া এই সংলাপে অংশ নিয়েছেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। থাকছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
সংলাপ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার জানান, রোহিঙ্গার সংকটটি বিশ্ববাসীর কাছে আবারও নজরে আনার জন্য এই উদ্যোগ। জানান, সীমান্তের ওপার থেকে যাতে আর রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংলাপের শেষ দিন, প্রতিনিধিরা সফর করবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম