
ভিয়েতনামে টাইফুন কাজিকি আঘাত হানার আগে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীদের মতে, এই ঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে এবং স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানার আগে আরো শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
থম হলা, কুয়াং ত্রি, হুয়ে ও দা নাংয়ের কেন্দ্রীয় প্রদেশের মানুষদের ঘর ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। বিমান ও নৌ পরিবহন বাতিল করা হয়েছে এবং নৌযানকে সমুদ্র থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ইতিমধ্যে চীনের হাইনান দ্বীপকে অতিক্রম করছে, যেখানে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা প্রায় ৩২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এ ছাড়া বিবিসি ওয়েদার জানিয়েছে, টাইফুন কাজিকি ভিয়েতনামের অভ্যন্তরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে শক্তি কমাতে পারে, তবে তখনো ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস ও প্রায় ৩০০-৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আঘাত হানবে। সমুদ্রে ৬.৬-১৩ ফুট উচ্চতার স্রোতের আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
যে এলাকাগুলোতে ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানকার মানুষদের স্থানীয় সময় রবিবার রাত ৯টার পর বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সহায়তার জন্য সেনারা মোতায়েন করা হয়েছে।
কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এএফপি বলেছে, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এটি কোনো যানবাহন বা স্থাপনার জন্য নিরাপদ নয়, যেমন পর্যটন বা মৎস্যজীবী নৌকা ও জলজ সম্পদ স্থাপনাগুলো।’
এদিকে ভিয়েতনাম এয়ারলাইনস রবি ও সোমবার মধ্যাঞ্চলীয় শহরগুলোর জন্য অন্তত ২২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই ঝড় গত বছরের সেপ্টেম্বরের ইয়াগির মতো বিধ্বংসী হতে পারে।
সেই ভয়ংকর টাইফুনে অঞ্চলজুড়ে শত শত মানুষ নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে ভিয়েতনামের ৩০০ জনও ছিল।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম