
বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসনের একটি কমানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার সর্বত্র হরতাল ও পাঁচটি মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
হরতালের সমর্থনে বন্ধ রাখা হয় জেলার সব মাছ ও কাঁচাবাজারসহ দোকানপাট। দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়কপথে চলাচলকারী সব ধরনের যান চলাচল ছিল বন্ধ।
সকালে খুলনা-মোংলা মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, অবরোধের সমর্থনে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ইপিজেড, শিল্প-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেয়া ও ফেরি পারাপারও বন্ধ ছিল। মোংলা বন্দরের জেটি কার্যক্রম ও সড়কপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় কার্যত অচল হয়ে পড়ে গোটা জেলা।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম সকলকে হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আমরা ৩০ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি সংবাদ সম্মেলন, রাজপথে অবস্থান, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। তবুও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে সরে আসেনি। তাই আজকের হরতাল ও অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলার সর্বস্তরের মানুষ আমাদের দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দোকানপাট, যান চলাচল, এমনকি মোংলা বন্দর এলাকার ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন জনগণের আবেগের প্রতি সম্মান জানিয়ে চারটি আসন বহাল রাখবে, নচেত আরও কঠোর কর্মসূচির পথে যেতে হবে।
চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে আজ জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতাল ও অবরোধের পাশাপাশি বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আগামীকাল (সোমবার) ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের গঠিত একটি বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকেই জেলায় সর্বদলীয় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম