
নীতিমালা ভঙ্গ করে উচ্চমূল্যের ফ্ল্যাট বরাদ্দের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার সাবেক দুই কমিশনারসহ ১২ জন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা অনুসন্ধান দলের একটি রুটিন কাজ। তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে দুদকের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান এবং জহরুল হক ছাড়াও রয়েছেন সাবেক সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, এম এ কাদের, ড. এম আসলাম আলম, আখতারী মমতাজ, মো. সিরাজুল হক খান, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মো. আনিছুর রহমান এবং এস এম গোলাম ফারুক। ১৭, ১৮ এবং ২১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন তারিখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
দুদক জানায়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের 'গৃহায়ন ধানমন্ডি (১ম পর্যায়)' প্রকল্পের আওতায় নীতিমালা ভেঙে এই ফ্ল্যাটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 'দিনের ভোট রাতে নেওয়ার' সঙ্গে জড়িত থাকার পুরস্কার হিসেবে এই ১২ কর্মকর্তাকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ধানমন্ডির ৬/১ ঠিকানায় অবস্থিত এই প্লটটি সরকারি খাস জমি, যার বাজারমূল্য অনেক বেশি। এখানে নির্মিত ১৪ তলা ভবনের ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৬০ শতাংশ সরকারি এবং ৪০ শতাংশ বেসরকারি কোটায় বরাদ্দযোগ্য ছিল। তবে নীতিমালা ভেঙে ১২টি ফ্ল্যাটই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন দুদকের সাবেক দুই কমিশনার।
চলতি বছরের ৫ মে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুদক বিষয়টি আমলে নেয় এবং ১২ মে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পায়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম