জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে মানুষের আগমন বাড়তেই থাকে। ফলে বাড়ছে জনসংখ্যা ও বাসস্থানের চাপ। বর্তমানে ঢাকার প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষই ভাড়া বাসায় থাকেন। বাসা ভাড়া বৃদ্ধি, সুযোগ–সুবিধা, চুক্তি ও ব্যবস্থাপনা—বিভিন্ন ইস্যুতে ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে বাড়িওয়ালার মতবিরোধের ঘটনাও নিত্যদিনের।
যদিও এই সমস্যা সমাধানে ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ বিদ্যমান, তবে এর কার্যকর প্রয়োগ খুব একটা দৃশ্যমান নয়। এমন প্রেক্ষাপটে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের অধিকার নিশ্চিত এবং বিরোধ কমাতে বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
সভায় অংশ নেন দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা। তারা ভাড়া নির্ধারণে যৌক্তিক কাঠামো, লিখিত চুক্তি বাস্তবায়ন, সেবার মানোন্নয়ন, ভাড়া বৃদ্ধির নিয়ম প্রয়োগ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। ডিএনসিসি জানায়, এসব প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে নগরবাসী ভাড়া বাসা ব্যবস্থাপনায় একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ পরিবেশ পেতে পারেন।
বাড়ির ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে সার্বিক সুবিধার করা, একটি বাড়ির ১০ থেকে ২০ শতাংশ মেস ভাড়ার জন্য বরাদ্দ রাখা, ট্যাক্সের টাকা ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর নির্ভর করে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা প্রস্তাবনার কথা বলেন আলোচকরা।
এ সময় ডিএনসিসি প্রসাশক এজাজ বলেন, ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাড়াটিয়া সমিতি করতে হবে। ভাড়া বাড়ানোর নীতিমালা করতে হবে, কোন এলাকার সর্বোচ্চ ভাড়া কি হতে পারে তা নিয়ে গাইডলাইন দেয়ার কথাও জানান তিনি।
এ আলোচনায় প্রস্তাবিত প্রস্তাবনাগুলো ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে নীতিমালা ও গাইডলাইন আকারে প্রকাশের আশ্বাস দেন প্রশাসক।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

