
ছোটখাটো ভিন্নতা ও দূরত্ব ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে অংশ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অর্থবহ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, এখন সব কর্মকাণ্ড সংসদমুখী করা উচিত। ভিন্নতা ও দূরত্ব দূর করে যেভাবে সনদ স্বাক্ষর করা গেছে, আগামী নির্বাচনকে সেভাবেই একটা অর্থপূর্ণ করতে হবে। এটি যেন সবার কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়। যারা নির্বাচিত হবেন, তারা সংসদকে সত্যিকার অর্থে প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলবেন বলেও আশা করেন মির্জা ফখরুল।
শনিবার পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে শ্রমিক-কর্মচারীদের সাধারণ সভা ও সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে আপনি সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থি গণতন্ত্রের দিকে যাবেন, নাকি আবার অন্যদিকে চলে যাবেন। আমাদের এই কথা ভুললে চলবে না, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। সেই স্বাধীনতাযুদ্ধ ছিল আমাদের একটা নতুন জাতি সৃষ্টির আন্দোলন। জুলাই সনদে স্বাক্ষর বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য ঘটনা হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।
সংসদীয় রাজনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে। সব কর্মকাণ্ডকে সংসদকেন্দ্রিক করতে হবে। তা না হলে সংসদীয় গণতন্ত্র কাজ করবে না।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠানের সামনে পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাইযোদ্ধা’ পরিচয়ে ছাত্রদের সংষর্ষের ঘটনা গণতন্ত্রকে সাহায্য করবে না বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, শুক্রবার ছেলেদের একটি গ্রুপ তারা এখানে (সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানের সামনে) এসে বসে যায়। পরে পুলিশ এবং ছাত্রদের মধ্যে একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম