
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষণা দিয়েছে, তারা আজ শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিতব্য ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দলটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন রাত ২টা ৪ মিনিটে দলের মিডিয়া গ্রুপে পাঠানো বার্তায় লিখেছেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অংশগ্রহণ করবে না।’
বার্তায় বলা হয়, ‘এনসিপি মনে করে, এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোনো আইনি ভিত্তি অর্জিত হবে না। এটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। আইনি ভিত্তি নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতা “জুলাই ঘোষণাপত্র”-এর মতো একপক্ষীয় দলিলে পরিণত হবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে এনসিপি আরও জানায়, কমিশনের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় দলটি নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। দাবি পূরণ হলে ভবিষ্যতে স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এনসিপি।
অন্তর্বর্তী সরকার আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিল আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী দল এনসিপি।
জানা যায়, এনসিপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ আলাপে যুক্ত ছিলেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। মাহফুজ আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কেউ না হলেও তিনি এনসিপির বিষয়ে প্রভাব রাখেন।
এনসিপির নেতাদের কাছে তার গুরুত্ব আছে। তারা দলটির পক্ষ থেকে জানান, ‘সংবিধান আদেশ’ জারির মাধ্যমে সংস্কারপ্রক্রিয়া না এগোলে এনসিপি সনদে সই করবে না। তাঁরা সংস্কার, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে নতুন করে আলোচনা শুরু করার পক্ষেও মত দেন। তারা চান সংবিধান স্থগিত করে বিশেষ আদেশ (প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করা হোক এবং সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে জারি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এনসিপি সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা হবে। তিনি বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং আদেশের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলে সেটা মূল্যহীন হবে। এ কারণে শুক্রবারের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের অংশীদার হবে না এনসিপি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম