জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন ‘হিন্দু প্রার্থী’ কৃষ্ণ নন্দী

বৃহস্পতিবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন ‘হিন্দু প্রার্থী’ কৃষ্ণ নন্দী

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
জামায়াতের মনোনয়ন পেলেন ‘হিন্দু প্রার্থী’ কৃষ্ণ নন্দী

হিন্দু অধ্যুষিত খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করেছে জামায়াতে ইসলামী। হিন্দু এ নেতার প্রার্থিতা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে কানাঘুষা চলছিল। আজ বুধবার স্থানীয় জামায়াত নেতারা তার প্রার্থিতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ওই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির মাওলানা আবু ইউসুফ।

খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা এমরান হোসাইন বলেন, গত ১ ডিসেম্বর জামায়াত আমির তাকে প্রার্থী ঘোষণা করে তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছি। 

ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ১ ডিসেম্বর আমাকে কেন্দ্রে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে জামায়াত আমিরসহ উচ্চপর্যায়ের নেতারা ছিলেন। তারা আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আমি তাদের নির্দেশনা পেয়েছি। এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করব।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ী কৃষ্ণ নন্দীর গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে। ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এক বছর ধরে ডুমুরিয়া ও ফুলতলায় গোলাম পরওয়ারের বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে কৃষ্ণ নন্দীকে দেখা গেছে। তার নেতৃত্বে প্রতিটি সমাবেশেই সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের সরব উপস্থিতি ছিল। 

অবশ্য আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি এখন ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।

অবশ্য কৃষ্ণ নদী বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতো। কিন্তু ঘনিষ্ঠ বলতে যা বোঝায়-তেমন কখনো ছিলাম না। ২০০৩ সালে আমি জামায়াতে যোগ দেই। পরে ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতের হিন্দু শাখার সভাপতি হই। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখনকার খুলনা-১ আসনটি খুলনা-৫ নামে ছিল। প্রথম এমপি হন কুবের চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পান প্রফুল্ল কুমার শীল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেতেন প্রফুল্ল কুমার। ১৯৯৬ সালে জয়ী হন শেখ হাসিনা। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শেখ হারুনুর রশিদ। কিন্তু সংখ্যালঘু প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাসের কাছে হেরে যান। যদিও পঞ্চানন বিশ্বাস আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে শপথ নেন। 

২০০১ সালে আবার জয়ী হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী জন আওয়ামী লীগের ননী গোপাল মণ্ডল। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার এমপি হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২৪ সালে জয়ী হন ননী গোপাল মণ্ডল। সব মিলিয়ে আসনটিতে সব সময় সংখ্যালঘু প্রার্থীই এমপি হয়েছেন।

জামায়াতের সাবেক প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, জামায়াতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলনা-১ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দী। আমাকে তার প্রধান এজেন্ট করা হয়েছে। আমি তার পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছি। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যথাসম্ভব কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের