পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
তালেবানরা আফগানিস্তানের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর শরণার্থীদের ঢল ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান-আফগান সীমান্তের তোরাখাম সীমান্ত এলাকা দেখতে অনেকটাই স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু ঘনিষ্ঠভাবে দেখলে বোঝা যাবে কতটা পরিবর্তন হয়েছে।
আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্রের তেরঙা পতাকার পরিবর্তে আফগানিস্তানের ইসলামী আমিরাতের সাদা পতাকা এবং আফগান সীমান্তের নিরাপত্তা বাহিনীর জায়গায় এখন বন্দুকধারী দাড়িওয়ালা তালেবানের সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছে। তারা এখন পাকিস্তানের সাথে ব্যস্ততম সীমান্ত পারাপার রাস্তা তোরখামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
কিছুদিন আগেও, শত শত আতঙ্কিত আফগান নাগরিক কয়েক দিনের জন্য এখানে জড়ো হয়েছিলেন এবং পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উপায় বের করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
তারপর যা অনিবার্য মনে হয়েছিল তা হল: সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগান পুলিশ বাহিনী তালেবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
আফগানিস্তান তালেবানদের দখলের আগে সীমান্তের পাশ বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু সংক্ষিপ্ত বন্ধের পর এটি পুনরায় বাণিজ্যের জন্য খুলে দেওয়া হয় এবং পথচারীদের চলাচল সীমিত করা হয়।
সাধারণত প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ প্রতিদিন দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতো। কিন্তু আজ আফগানিস্তানের পাশে প্রায় ৫০ জন লোক পাকিস্তানে প্রবেশের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। সীমান্ত পারাপারে জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, তারা চান না কোনো জঙ্গি সাধারণ নাগরিকের ছদ্মবেশে প্রবেশ করুক। এজন্য তারা সীমান্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রক্রিয়াকে আরো কঠোর করেছে। তোরখাম সীমান্ত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানে শরণার্থীদের আগমনের প্রধান স্থান। বিবিসি অনলাইন।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই