ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূকম্পন অনুভূত, উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার

মঙ্গলবার,

০২ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

মঙ্গলবার,

০২ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূকম্পন অনুভূত, উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূকম্পন অনুভূত, উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের ফালামে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।

ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিভাগ থেকে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।

ভূমিকম্পের তথ্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) তাদের ওয়েবসাইটে সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ৪.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের নাচুয়াংয়ে।

একই তথ্যে ১০৬.৮ কিলোমিটারের গভীরতা সম্পন্ন এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়েছে মিয়ানমারের সাগাইং, উত্তর পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ।

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। দুটি টেকটোনিক প্লেট-ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে।

এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের