শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা ডিসি অফিস চত্বরে পঁচা ধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ০১:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ০১:৪৪, ১৩ আগস্ট ২০২১

Google News
জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা ডিসি অফিস চত্বরে পঁচা ধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান

ছবি: কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পঁচা ধান গাছ হাতে নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী প্রান্তিক চাষীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এ ধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন। দ্রুত সরেজমিনে পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রত্না খাতুন প্রমুখ।

এসময় তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। বিগত ২১ বছর যাবত আমাদের বিলটি জলাবদ্ধতা থাকায় আমরা অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটায়। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমন্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করি। সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুসে আড়াই হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করি।

এদিকে পূর্বের জলাবদ্ধতার কারনে কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জবর দখল করে একটি মৎস্য ঘের করে। সেচের কারণে তার ঘেরের পানি শুকিয়ে যায়। সম্প্রতি বর্ষার কারণে পানি জমে ধানের ক্ষতি হতে পারে ভেবে উজানের একটি কালভার্টের মুখ আটকিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশ^বর্তী সরকারি চাঁন মল্লিকের খাল দিয়ে পানি বেতনানদীতে নামানোর জন্য একটি শক্তিশালী পাম্পের ব্যবস্থা করি। কিন্তু চেয়ারম্যান লাল্টু তার অবৈধ মৎস্যঘের রক্ষায় ঘেরে পানি ঢোকানোর জন্য খালের মুখ বন্ধ করে দেয় । ফলে এলাকার আড়াই হাজার বিঘা ফসলিজমি পানিতে তলিয়ে গেছে।  সমন্ত ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২ হাজার প্রান্তিক কৃষক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পথে বসেছে অনেকেই। পরিকল্পিতভাবে একক স্বার্থে ২ হাজার কৃষকের পেটে লাথি মেরেছে তিনি। আমরা অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হন্তক্ষেপ কামনা করছি। পরে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন করা হয়।

এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জানান, কৃষকেরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার মদদপুষ্ট হয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করে আমার সুনাম নষ্ট করছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিন তদন্ত করলে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। 
 

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের