বৃহস্পতিবার,

১৮ এপ্রিল ২০২৪,

৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

১৮ এপ্রিল ২০২৪,

৫ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

পাহাড়জুড়ে নতুন আতঙ্ক এই কেএনএফ আসলে কারা?

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২৭ মার্চ ২০২৩

Google News
পাহাড়জুড়ে নতুন আতঙ্ক এই কেএনএফ আসলে কারা?

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ-এর এক সশস্ত্র সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলের তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে আলোচিত হয়ে আসছে। সেখানকার আঞ্চলিক উপজাতি সশস্ত্র দলগুলোর আধিপত্য বিস্তার ও ভূখন্ডকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রই মূলত অঞ্চলটিকে প্রায় অশান্ত করে রাখছে। বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের সাবেক গেরিলা সংগঠন (শান্তিবাহিনী) পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস, প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ, জেএসএস ভেঙে গড়ে উঠা জনসংহতি সমিতির অপর গ্রুপ-সংস্কার এবং ইউপিডিএফ ভেঙে গড়ে উঠা দল ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক মিলে প্রধান ৪টি সশস্ত্র গ্রুপ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মগ পার্টি বা মগ লিবারেশন পার্টির নাম শোনা গেছে। এর বাইরে গত কয়েকমাস ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সর্বত্র আলোচনায় রয়েছে নতুন আত্নপ্রকাশ করা আরেকটি সশস্ত্র দল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

আত্নপ্রকাশ করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় এই দলটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর সাথে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়েছে। এতে উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে। এর বাইরে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় কেএনএফ-জেএসএস সংঘাতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকজন নিহত ও গ্রামছাড়া হওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশী আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে কেএনএফ। এছাড়া সম্প্রতি রাঙামাটি ও বান্দরবানের দূর্গম সীমান্তে টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘরছাড়া যুবকদের জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে কেএনএফ আসলে কারা?

বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করলেও সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পাতায় দাবি করেছে তারা বাংলাদেশের কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়। একই সাথে তারা জানিয়েছে, তাদের ভাষায়, "সুবিধা বঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর জন্যে স্বশাসিত বা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতাসহ একটি ছোট রাজ্য" চাইলেও তারা কোন স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। তবে কেএনএফ-এর ফেসবুক পাতা ও ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে যেসব সামরিক ট্রেনিংসহ কার্যক্রমের সচিত্র বর্ণনা দেয়া হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোন ছবি বা ভিডিও নয় বলেই মনে করছে র‍্যাব।

র‍্যাবের অভিযোগ, কিছু তরুণকে সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ ও রসদ যোগাচ্ছে এই কেএনএফ। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকীদেরও আটক করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে র‍্যাব। ইতোমধ্যেই বাড়ি ছেড়ে কথিত হিজরত করতে যাওয়া ৫৫ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে র‍্যাব, যারা "জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া"র সাথে জড়িত বলে বলা হচ্ছে এবং র‍্যাবের দাবি হলো এদেরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কেএনএফ।

রেডিওটুডে/এমএমএইচ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের