
ভারতীয় রূপার গহনাসহ চুয়াডাঙ্গায় একই পরিবারের তিন সদস্য আটক
চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা বারাদী সীমান্তে ২ হাজার ১২ ভরি ওজনের ভারতীয় রুপার গহনাসহ একই পরিবারের ৩ চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি-৬। এসময় আরও ২ চোরাকারবারি পালিয়ে যায়।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে বারাদী বিওপির বারাদী সীমান্ত থেকে ভারতীয় রূপার গহনাসহ তাদের আটক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন - চুয়াডাঙ্গা দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের মৃত হায়দোর আলী ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮), ওয়াসিম বিশ্বাসের স্ত্রী রিমা খাতুন (২৭), ওয়াসিম বিশ্বাসের মা আরবী খাতুন (৫৫)।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দর্শনা থানার বারাদী সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রূপার গহনা চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন এবং সুলতানপুর বিওপি কমান্ডার দুলাল হক সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে বিকাল ৩ টার দিকে সীমান্ত পিলার ৮০/৬-আর থেকে আনুমানিক ২০০ মিটার বাংলাদেশের ভিতরে দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামে ওয়াসিম বিশ্বাস এর বাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালান। এসময় বিজিবি সশস্ত্র টহল ঘরের ভিতরে ড্রেসিং টেবিল এর নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় একটি গামছা দিয়ে বাধা পোটলা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ২০টি প্যাকেট থেকে ২৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম বা ২ হাজার ১২ ভরি ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা উদ্ধার করেন। যায় আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এ সময় ৩ চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষমহন। অপর দুই চোরাকারবারী পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা এবং উদ্ধার ভারতীয় রূপার গহনাগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি