
রাজবাড়ীতে শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ৩ জন
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মুন্না আজিজ মহাজন(৪৫) কে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন সহ চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনায় প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০ ফরিদপুর।
সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০ সিপিসি ৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের মৃত তেজারত মন্ডলের ছেলে শাহাদাত মন্ডল(৬৫),শাহাদাত মন্ডলের দুই ছেলে রাফি মন্ডল(৩২) ও মো.মেহেদী হাসান দিপু(৩০)।
এর আগে গত রোববার(১৫ অক্টোবর) রাতে জমিজমাকে কেন্দ্র করে আজিজ মহাজনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ভূমিদস্যুরা।ঐদিন রাত ১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।এঘটনার পর দিন সোমবার(১৬ অক্টোবর) আজিজ মহাজনের ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮/৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বালিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়,আজিজ মহাজনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের আগে থেকেই পূর্ব বিরোধ ছিলো।উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ৩২/৩৩ জন মিলে হত্যার পরিকল্পনা করে।পরবর্তীতে গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭ টার দিকে আজিজ মহাজন মোটরসাইকেল নিয়ে তার ভাইয়ের বাসা হতে নিজ বাসায় যাওয়ার পথে কোনাগ্রামের পাকারাস্তায় উঠলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ৩২/৩৩ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আজিজ মহাজনের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা করে তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর থেকেও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন সেখানকার চিকিৎসক।এরপর রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
র্যাব-১০ সিপিসি ৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কেএম শাইখ আক্তার বলেন, আজিজ মহাজন হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ভাই বাদি হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।এরপর র্যাব বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।মূলত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজিজ মহাজনকে তারা হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরককে থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি