শুক্রবার,

২৫ অক্টোবর ২০২৪,

১০ কার্তিক ১৪৩১

শুক্রবার,

২৫ অক্টোবর ২০২৪,

১০ কার্তিক ১৪৩১

Radio Today News

এক সপ্তাহ পর পণ্যবোঝাই জাহাজ পাঠানো হলো সেন্টমার্টিনে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ১৪ জুন ২০২৪

Google News
এক সপ্তাহ পর পণ্যবোঝাই জাহাজ পাঠানো হলো সেন্টমার্টিনে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের সংকটে দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড়শ মেট্রিক টন খাদ্য পণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে 'এমভি বারো আউলিয়া' জাহাজ। 

শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খাদ্য পণ্য পাঠানো হয় দ্বীপটিতে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জেলা প্রশাসনের ৭৫ মেট্রিক টন খাদ্য পণ্য, কোরবানির জন্য পাঁচটি গরু ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হচ্ছে। চিকিৎসা সামগ্রী ও তিনজন মিডওয়াইফও দ্বীপটিতে যাচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামালসহ প্রায় দেড়শ মেট্রিক টন খাদ্য পণ্য যাচ্ছে, যা দিয়ে এক মাসের সংকট কাটবে।

তিনি আরও বলেন, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হচ্ছে। দ্বীপ থেকে বিভিন্ন কাজে কক্সবাজারে এসে আটকে পড়া অনেক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে সেন্টমার্টিন ফিরে যাবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাত দিন পর বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক হোটেল শ্রমিক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এ সময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক লোক সেন্টমার্টিনে ফিরে যান। বাকিরা আজ খাদ্যের জাহাজে ফিরবেন।

২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের পার্লামেন্টারি নির্বাচনে অং সান সুচির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৪১২ আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয় পায়। কিন্তু অধিবেশন শুরুর প্রাক্কালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তাদের নিপীড়ন-নির্যাতন ও হামলায় অন্তত সাড়ে চার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। বন্দী করা হয়েছে ২৫ হাজার মানুষকে। জান্তা বাহিনীর নৃশংস হামলায় মিয়ানমার জুড়ে অন্তত ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মিসহ দেশটির একাধিক বিদ্রোহী সংগঠন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।    

মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যুদ্ধ চলছে। যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতে।  

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের