
কৃষক শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গাজীপুরে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলচেষ্টার অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্টরা।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতাদের পরিবারের সদস্যরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাম- নয়নপুর এনএস আদর্শ বিদ্যালয়, ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি। প্রতিষ্ঠানগুলো গাজীপুরের রাজেন্দ্ররপুরের নয়নপুর গ্রামে অবস্থিত।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ১৯৯০ সালে নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল সিদ্দিকী পারিবারিক সহযোগিতায় ‘কচি-কাঁচা একাডেমী’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। পরবর্তীতে সেখানে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ইকবাল সিদ্দিকী ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালের ৪ মার্চ মারা যান ইকবাল সিদ্দিকী। তার মৃত্যুর পর প্রভাব খাটিয়ে ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি হয়ে যান কাদের সিদ্দিকী। এরপর থেকে তিনি অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন। টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করেন। একপর্যায়ে সোসাইটির জমিও নিজ নামে লিখে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে আদালতে দুটি মামলাও হয়েছে। এখন তিনি মামলার তদন্ত সংস্থা ও গাজীপুর এসি ল্যান্ডকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ইকবাল সিদ্দিকীর ভাই হায়দার সিদ্দিকী উদয় বলেন, পারিবারিকভাবে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। একই রাজনৈতিক দল করার সুবাদে কাদের সিদ্দিকী নয়নপুরে যাতায়াত করতেন। সেই সুযোগ তিনি নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসমত উল্লাহ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরোজা খানম প্রমুখ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম