চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ‘নবম বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু’ নির্মাণের কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর এলাকায় ষষ্ঠ বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্প এলাকায় এক অনুষ্ঠানে এই আশ্বাস দেন তিনি। পরে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবদুর রউফও দ্রুততম সময়ে মুক্তারপুর দ্বিতীয় ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা বলেন। এ লক্ষ্যে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরবিসি নিজস্ব অর্থায়নে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করেছে।
এদিন মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার সংযোগকারী ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর (মুক্তারপুর সেতু) ব্যাপক সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চীন সরকারের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এই সেতুর সম্পূর্ণ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- সেতুর কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা, যা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে আশপাশের জেলাগুলোর জন্য নতুন পরিবহন করিডোর হবে।
চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে সেতু বিভাগের সচিব মো. আবদুর রউফ বলেন, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে পাশে ছিল। এই সংস্কার প্রকল্পটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর আওতায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ। দীর্ঘ সময় এই সেতু ব্যবহারের ফলে এর যে স্বাভাবিক সংস্কার প্রয়োজন ছিল, তা চীন সরকারের বন্ধুপ্রতিম সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হলো। এটি শুধু একটি সেতু নয়, বরং দুই দেশের আস্থার প্রতীক। চীন সরকারের এই কারিগরি সহযোগিতা আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ১৯৮০-এর দশক থেকে চীন বাংলাদেশে আটটি বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে। এখন ষষ্ঠ মৈত্রী সেতুর সংস্কার কাজ চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে। এই কাজ শেষ হলে অচিরেই নবম বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

