বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন-বিদ্যুতের যুগে চীন

বুধবার,

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৭ পৌষ ১৪৩২

বুধবার,

৩১ ডিসেম্বর ২০২৫,

১৭ পৌষ ১৪৩২

Radio Today News

বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন-বিদ্যুতের যুগে চীন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন-বিদ্যুতের যুগে চীন

উত্তর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে চালু হলো বিশ্বের প্রথম ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন গ্যাস টারবাইন। পুরোপুরি চীনেরজুপিটার আইনামের টারবাইনটি শুধু প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, বরং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারে তৈরি করেছে বড় মাইলফলক।

গ্যাস টারবাইনটি বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে হাইড্রোজেনকে বিদ্যুতে রূপান্তরের জন্য। নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সৌর বা বায়ু বিদ্যুৎ যখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি উৎপাদিত হয়, তখন সেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ দিয়ে হাইড্রোজেন তৈরি সংরক্ষণ করা যায়। পরে চাহিদা বাড়লে সেই হাইড্রোজেন আবার বিদ্যুতে রূপ নেয়জুপিটার আই ঠিক সেই কাজটাই করছে।

প্রকল্পটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিংইয়াং গ্রুপ জানিয়েছে, এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক ইউনিটের বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। একই ক্ষমতার প্রচলিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় বছরে প্রায় দুই লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম এই টারবাইন। যৌথ-চক্র (কম্বাইন্ড সাইকেল) ব্যবস্থায় এটি প্রতি ঘণ্টায় ৪৮ হাজার কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, যা প্রতিদিন প্রায় হাজার ৫০০ পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।

মিংইয়াং হাইড্রোজেন গ্যাস টারবাইন টেকনোলজির মহাব্যবস্থাপক ওয়াং ইয়ংচি জানালেন, ‘এই প্রযুক্তি নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনিয়মিত উৎপাদনের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। একই সঙ্গে এটি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

এখন চীনের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ সর্বোচ্চ সীমায় আনা এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের যে লক্ষ্য চীন নিয়েছে, জুপিটার আইয়ের মতো প্রকল্প সেই যাত্রাকে আরও বাস্তব দৃশ্যমান করে তুলছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের