হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

মঙ্গলবার,

১১ নভেম্বর ২০২৫,

২৭ কার্তিক ১৪৩২

মঙ্গলবার,

১১ নভেম্বর ২০২৫,

২৭ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে

হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১০, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:১১, ১১ নভেম্বর ২০২৫

Google News
হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। এ মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিন মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির নির্দেশ দেন। পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. এনামুল হক এরই মধ্যে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলার ২৮৬ আসামির মধ্যে ২৫৮ জন বর্তমানে পলাতক। গত ১৪ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন পলাতক থাকায় আদালত তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পরে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন— মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মণ্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা. ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ও জনি চন্দ্র সূত্রধর।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত জুম মিটিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসানোর শপথ নেন অংশগ্রহণকারীরা।

ওই অনলাইন সভায় ৫৭৭ জন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যোগ দেন এবং শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমের হোস্টিংয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের কথোপকথনের ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়— বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে না দেওয়ার বিষয়ে সেখানে আলোচনা হয়।

ওই মিটিংয়ে সরকারের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের ঘোষণা ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডের উপাদান পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির এএসপি মো. এনামুল হক।

সিআরপিসির ১৯৬ ধারায় অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে তিনি তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্ত শেষে গত ১৪ আগস্ট সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং গত ১১ সেপ্টেম্বর তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলম, জয় বাংলা ব্রিগেডের সদস্য কবিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এলাহী নেওয়াজ মাছুম, জাকির হোসেন জিকু, প্রফেসর তাহেরুজ্জামান, এ কে এম আক্তারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা সাবিনা ইয়াসমিন, আজিদা পারভীন পাখি, শাহীন, অ্যাডভোকেট এএফএম দিদারুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান, সাবেক এমপি সৈয়দ রুবিনা আক্তার, সাবেক এমপি পংকজ নাখ, লায়লা বানু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, রিতু আক্তার, নুরুন্নবী নিবির, সাবিনা বেগম ও শরিফুল ইসলাম রমজান।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের