
ফাইল ছবি
সেই আদিকাল থেকেই রূপচর্চায় ফুলের ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই সময় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সেই সাথে চুলের যত্নের জন্য নানাভাবে ভেষজ এই উপকরণ দিয়ে রূপচর্চা করতেন আদিকালের অন্দরমহলের নারীরা।
রূপচর্চার এই কাজে গাঁদা ফুলের অনেক অবদান রয়েছে। ব্রণ সারিয়ে তুলতে অথবা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে গাঁদা ফুলের নির্যাস অনেক উপকারী। গাঁদা ফুল ব্যবহারের আগে পাপড়ি গুলো ভালো করে ধুয়ে এর থেকে নির্যাস বের করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে গাঁদা ফুল পেস্ট করে নিয়ে তার সাথে বেসন আর শসার রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন।
গাঁদা ফুল যেহেতু যেকোনো ধরনের ত্বকেই মানানসই তাই রূপচর্চার কাজে এটি সকলেই ব্যবহার করতে পারেন। এবার গাঁদা ফুলের রসের সাথে পুদিনা পাতার রস আর মুলতানি মাটি মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে ব্রণের জায়গা গুলোতে লাগিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে গাঁদা ফুলের তেল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় গাঁদা ফুলের পাপড়ি গুলো ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। পরের ধাপে শুকনো গাঁদা ফুল চার কাপ আর দুই কাপ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ভালো করে মিনিট দশেকের মত জ্বালিয়ে নিন।
তারপর মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে কাচের বোতলে গোলাপজল আর গ্লিসারিন মিশিয়ে রেখে দেওয়া যাবে অনেকদিন পর্যন্ত। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণটি হাতে মুখে লাগিয়ে ময়েশ্চারাইজারের মত ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণটি মূলত যাদের ত্বক বেশি রুক্ষ হয়ে গেছে তাঁদের জন্য খুব উপকারী। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এই মিশ্রণ যেন শুধু রাতেই ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের পাশাপাশি গাঁদা ফুল কিন্তু চুলের যত্নেও দারুন ভূমিকা রাখে। চুলের যত্নে গাঁদা ফুলের রসের সঙ্গে মেথি এক টেবিল চামচ এবং মৌরি ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত। এই মিশ্রণটি পরের দিন পেস্ট করে মাথার স্ক্যাল্পে লাগালেই খুশকির সমস্যা থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে।
এস আর