
টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগর থেকে অন্তত ৪০ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ সময় পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলারও তারা জিম্মায় নেয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জলসীমায় ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ পৌর বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ।
তিনি জানান, জেলেরা নিয়মিত মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সেন্টমার্টিনের আশপাশের সাগরে। এ সময় অস্ত্রধারী আরাকান আর্মির সদস্যরা এসে জেলেদের ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ট্রলারগুলোর মধ্যে ৩টির মালিক টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা এবং অপর ২টির মালিক শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা।
ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা ট্রলারের জেলেদের বরাতে সাজেদ আহমেদ বলেন, বিকেল সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অন্তত ২০ থেকে ৩০ টি ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরছিলেন। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা ২টি স্পিডবোটযোগে সেখানে এসে অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিন্মি করে। পরে ৫ টি ট্রলারসহ অন্তত ৪০ জন জেলেকে ধরে নিয়ে আরাকান আর্মি।
বোট মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, ঘটনাটি শোনার পর বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। তবে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের এখন সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত নই।
এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর জানান, খবরটি তিনিও নানা মাধ্যমে জেনেছেন। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৩টি ট্রলারসহ ৮১ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। যাদের খবর এখনও জানেন না স্বজনরা। এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ৩২৫ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম