
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে চলছে ভোট গণনার কাজ। দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ভোট গণনা শেষ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাবির ২১টি হলের মধ্যে ১৮টি হলের ভোট গণনার কাজ শেষ হয়েছে।
ওএমআর কেনার পরও ম্যানুয়ালি ফল গণনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফজিলাতুন্নেছা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সুলতানা আক্তার। এভাবে গণনা আরও তিনদিনেও শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
এদিকে ভোট গণনা এবং ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়াকে শঙ্কা হিসেবে দেখছেন প্রার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, ফল প্রকাশ দীর্ঘায়িত করা একরকম ষড়যন্ত্র, আজ রাত আটটার মধ্যে ফলাফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণে বিলম্বের পর গণনা শুরু হয় রাত ১০টা থেকে। শুক্রবার দুপুর পেরিয়ে বিকেল গড়ালেও চূড়ান্ত ফলাফলের ধারে-কাছেও যেতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গতকাল অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে একযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ শেষে গণনা করার জন্য ব্যালট বাক্স নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে। সেখান থেকেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।
জাবি কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন।
নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে বুধবার রাত ১২টায়। এদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সব শেষ গতকাল দুপুরে পোলিং এজেন্টদের কাজে বাঁধা, নারী হলে পুরুষ প্রার্থীদের প্রবেশ, ভোটার লিস্টে ছবি না থাকাসহ নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বয়কট করে ছাত্রদলসহ পাঁচটি প্যানেল। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছে তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম