
একাত্তরে যারা গণহত্যা চালিয়েছিল তারা এবং চব্বিশের গণহত্যাকারী এই দুই গণহত্যাকারীরা কোথায় যেন মেলার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিম্যাব)-এর প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শামসুজ্জামান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশ চায় নাই, যারা গণহত্যা চালিয়েছিল শহীদ জিয়ার সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উপরে -তারা এবং চব্বিশে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল -৫০ বছর আগে এবং পরে এই দুই গণহত্যাকারী কোথায় যেন মেলার চেষ্টা করছে। বাতাসে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে -'নানানভাবে তারা এক হচ্ছে'। গণহত্যাকারীরাতো অশুভ সৈনিক ও অশুভ শক্তি। তারা একজন অপ্রকাশ্যে আছে এবং একজন প্রকাশ্যে আছে। ইলেকশন (নির্বাচন) হলে জাতীয়তাবাদী শক্তি ভালো করবে -এটা যেন তারা মানতে পারছে না। কিভাবে নির্বাচন ঠেকানো যায় সেজন্য নতুন নতুন বয়ান সামনে নিয়ে আসছে। যে বয়ানের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিক নির্বাচনকে ঠেকানো যায় এবং বাধাগ্রস্ত করা যায় সেই দিকে তারা হাটছে।
নির্বাচনের বিরোধিতাকারীদের স্বৈরতন্ত্রের পক্ষের শক্তি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে ভণ্ডামি করেছে শেখ হাসিনা। তিনটা নির্বাচন তিনি করেছেন। কিন্তু সেসব নির্বাচন ছিল না, ছিল ভন্ডামি। আর এখনতো নির্বাচনই হবে না এরকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি এই অশুভশক্তিকে বলবো আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনারা জনগণের কাছে নিয়ে যান। পিআর-পেয়ার আরো কিছু থাকলে নিয়ে যান। আমাদের আপত্তি নেই।
এসময় নির্বাচন বন্ধ করলে আধিপত্যবাদী শক্তি ভারতের পক্ষে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশে ভালো কিছু চায়না সেটা আপনারা দেখেছেন। গত তিন নির্বাচনের প্রথম সমর্থক হচ্ছে আধিপত্যবাদী শক্তি ভারত। তারাতো অপেক্ষায় বসেই আছে। গণহত্যাকারী লুণ্ঠনকারী শেখ হাসিনাকে তারা শুধু জায়গা দেয়নি, তারা রক্ষা করছে। শুধু হাসিনাকেই নয়, লাখ লাখ গণহত্যাকারীকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয় -শহীদ জিয়া,বেগম জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বিকল্প কোন শক্তি বাংলাদেশে আছে আমার কাছে তা মনে হয় না। তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি।
আসুন বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ থাকি। এই ঐক্যবদ্ধ থাকার কোন বিকল্প নেই৷ এমনকি আমি নিশ্চিত ২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সবকিছুর ফায়সালা হয়ে যাবে।
ডিম্যাবের সভাপতি শহীদুল্লাহ হক সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী প্রমুখ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম