
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের পদে শপথ গ্রহণের পর বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সুশীলা কার্কি। নেপাল নিউজে বলা হয়েছে, দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি আগামী বছর মার্চের ৫ তারিখ সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। নতুন সরকারপ্রধানকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত। এদিকে, নতুন সরকারপ্রধান শপথ গ্রহণের পর কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা।
বিচার বিভাগ থেকে অবসর নিয়েছিলেন আরও ৮ বছর আগে। দেশের ক্রান্তিকালে আবারও ফিরে এলেন। হিমালয় কন্যা নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইতিহাসই গড়লেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান সুশীলা কার্কি।
শুক্রবার শপথ গ্রহণের পরপরই ৫ মার্চ নেপালের সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। পাশাপাশি আন্দোলনকারী জেন-জি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় গণমাধ্যম নেপাল নিউজে বলা হচ্ছে, তাৎক্ষণিকভাবে সুশীলার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।
এর আগে, পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদ অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পৌডেল। কিন্তু নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান সুশীলা দাবি করেন, পার্লামেন্টের সদস্য নন এমন কেউ সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিলে, সংবিধান অনুসারে সংসদ ভেঙে দেয়া ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। আর শুরু থেকেই নেপালে আন্দোলনরত জেন-জি শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, বিগত সরকারের প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে নতুন সরকারপ্রধানকে দায়িত্ব দিতে হবে। যদিও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করছে নেপালের বার এসোসিয়েশন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম